প্রথমতঃ ভারতের কিছু অন্যায় কর্মকান্ড যেগুলো বাংলাদেশের একটা জেনারেশন চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। যেমন সীমান্তে হত্যা, তিস্তার পানি বন্টন ইত্যাদির সমাধান ভারত দিতে পারেনি। সীমান্তে প্রতিদিন প্রায় একজন করে মারা যাচ্ছেন যেটা বাংলাদেশের এই জেনারেশন মানতে নারাজ কারন এটা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়তঃ ব্যাপারটা খুব মজার এই কারনে যে, আগে ভারত পাকিস্তান যেমন দ্বৈরথ ছিল ক্রিকেটে সেটা এখন বাংলাদেশ ভারতে সঞ্চারিত হয়েছে যে কারনে এই দু দেশের মানুষদের মধ্যে এখন ক্রিকেট নিয়ে প্রায়ই বাক বিতন্ডা হয়। বিশেষ করে ২০১৫ সালে যে বিশ্বকাপ হয় তাতে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচে কিছু সিদ্বান্ত ভারতের পক্ষে অনৈতিকভাবে যায় যে কারনে বাংলাদেশের এই জেনারেশান ভারতকে বাংলাদেশের শত্রু ভাবতে শুরু করে।
তৃতীয়তঃ ভারতের পবিত্র প্রানি গরু নিয়ে। গরু তাদের মাতা। গরুকে হিন্দুরা সম্মান করেন কিন্তু যখন একটা মুসলিমের ঘরে গো মাংস পাওয়া যায় যার ফলে ঐ মুসলমানকে হত্যা করা হয়! তখন আরেক মুসলমান হিসেবে ঐ হত্যাকারীদের প্রতি ঘৃনা চলে আসবে এটাই স্বাভাবিক। যে কারনে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী বৃদ্বির সাথে সাথে বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি এক ধরনের ঘৃনা তৈরি হচ্ছে যেটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাতে যেকোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
চতুর্থতঃ বাংলাদেশিদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে তারা কখনো নিজেদের একক সত্ত্বা ভাবতে পারেন না ( সবাই না, ৮০%) যেকারনে হয় ভারত নয়তো পাকিস্তান যেকোন একদেশের প্রতি তাদের সাপোর্ট থাকতেই হবে। মনে হবে তাদের অন্তরে প্রার্থী দুইটা, একটাতে দিতেই হবে। ঠিক এভাবেই - ভারত বিদ্বেষী হওয়ার অর্থই হচ্ছে পাকিস্তান প্রীতি আর পাকিস্তান বিদ্বেষী অর্থই হচ্ছে ভারত প্রীতি।
শীর্ষ মতামত>>>>>