কিন্তু আর যাই হোক, আমি আজ না লিখে থামছি না।
প্রথমতঃ ভারত আমাদের কি দিচ্ছে? এক টাকা দিচ্ছে তো ৫টাকা নিচ্ছে। ট্রানজিট সুবিধা নিচ্ছে মাত্র ১৫৭টাকা প্রতি টনের বিনিময়ে! কি অবিশ্বাস্য সাশ্রয়ী মুল্য! সুন্দরবনের পাশেই পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে ভারতের মদদে। আওয়ামীলীগ দেশটাকে ভারতের হাতে বিক্রি করে দিচ্ছে। ইত্যাদি দিয়ে আমি আমার মন্তব্য শেষ করলাম। এখানেই কি শেষ? না! কেবল শুরু! উপরোক্ত মন্তব্য করার জন্য আমি পাকি বীজ! আমি রাজাকার! আমাকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে হবে ইত্যাদি।
দ্বিতীয়তঃ রাজাকারের ফাসি হচ্ছে ভালো কথা, আমি শাহবাগে গিয়েছিলাম, সরকারের উন্নয়ন চোখে পড়ার মত, আমি ব্লগার, আমি বিএনপি কে পছন্দ করি না, ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো। ইত্যাদি দিয়ে আমার মন্তব্য শেষ করার সাথে সাথেই আমি হয়ে যাবো ভারতের দালাল! নাস্তিক! কুত্তালীগ!
বাহ! মানুষের কি বিবেক!
আমি বাংলাদেশী বাঙালি। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমার মন্তব্য করার অধিকার আছে যেমনটা আপনার আছে। আমি ভারতের বিপক্ষে কথা বললেই কেন পাকিস্তানি হবো? বাঙালী হয়ে কি ভারতের সমালোচনা করা হারাম? আবার পাকিস্তানের সমালোচনা করলে কেন ভারতের দালাল হবো? বাঙালির সাথে কি পাকিস্তানের প্রেমময় সময় ছিল কখনো?
সমস্যা টা আমাদের, আমাদের মানসিকতায়। আমরাই মানসিকতায় ভারত আর পাকিস্তানের গোলামি করি অথচ এই দুই দেশ থেকে আমরা আলাদা জাতি। আমাদের নিজস্ব জাতিসত্বা আছে। আমরা এক বাঙালি আরেক বাঙালিকে ভারতের দালাল বানিয়ে ফেলি নয়তবা পাকি বীজ।