প্রথমতঃ ভারতের চেয়ে পরমাণু বোমা পাকিস্তানের হাতে বেশি !
কাশ্মির ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন প্রচণ্ড উত্তেজনা চলছে। আর এতে দুই দেশের সামরিক সামর্থ্য নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য বিস্তার করছে। সাধারণভাবে মনে করা হয়ে থাকে, সামরিক শক্তি বেশি হলে জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
সাধারণভাবে বড় দেশ এবং বিপুল ব্যয়ের কারণে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি অনেক কম। বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা, সরঞ্জাম, ট্যাংক, বিমান, সাবমেরিন ইত্যাদি দিক থেকে ভারত এগিয়ে রয়েছে।
কিন্তু তবুও স্বস্তিতে নেই ভারত। কারণ অন্তত একটি দিকে পাকিস্তান এগিয়ে আছে। আর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে এই অস্ত্রটিই সিদ্ধান্তসূচক হতে পারে। সেটা হলো পরমাণু বোমা। উভয় দেশের হাতেই পরমাণু বোমা আছে। তবে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের হাতে পরমাণু বোমার সংখ্যা বেশি।সাধারণভাবে বড় দেশ এবং বিপুল ব্যয়ের কারণে ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি অনেক কম। বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা, সরঞ্জাম, ট্যাংক, বিমান, সাবমেরিন ইত্যাদি দিক থেকে ভারত এগিয়ে রয়েছে।
![]() |
পরমাণু বোমা |
ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের হাতে বেশি পরমাণু অস্ত্র আছে। এমনই তথ্য পেশ করল স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি)।
এই সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের হাতে ১১০ থেকে ১৩০টি পরমাণু অস্ত্র আছে। সেখানে ভারতের হাতে ১০০ থেকে ১২০টি পরমাণু অস্ত্র আছে। গত বছরও পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সিপরি বলছে, এ বছরের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, ভারত, পাকিস্তান, ইজরায়েল এবং উত্তর কোরিয়ার হাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করার তৈরি মোট পরমাণু অস্ত্র ছিল ৪,১২০টি। তবে এই দেশগুলির হাতে থাকা মোট পরমাণু অস্ত্র ১৫,৩৯৫টি। গত বছর এই অস্ত্র ছিল ১৫, ৮৫০টি। যা এ বছর সামান্য কমেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পরমাণু অস্ত্রের পরিমাণ কমিয়ে ফেলছে এবং অস্ত্রভাণ্ডারকে আধুনিক করে তুলছে। তবে ভারতের দুই প্রতিবেশী চিন ও পাকিস্তান পরমাণু শক্তি বাড়াচ্ছে। এটা ভারতের কাছে চিন্তার বিষয়।
দ্বিতীয়তঃ দুই দেশের সামরিক শক্তি
দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। এছাড়াও দুই দেশের সামরিক বাহিনীই জনবল ও অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভারে সমৃদ্ধ।
দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। এছাড়াও দুই দেশের সামরিক বাহিনীই জনবল ও অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভারে সমৃদ্ধ।
![]() |
অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভার |
সিআইএ, দুই দেশের পাবলিক ডোমেইনসমূহ, সংবাদমাধ্যম এবং উইকিপিডিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে দুই দেশের সমর শক্তির তুলনামূলক চিত্র তৈরি করেছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডটকম। যুগান্তরের পাঠকদের জন্য সেই চিত্রটি তুলে ধরা হলো-
জনবল
ভারত: ১২৫ কোটি ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫৮৪ জনসংখ্যার দেশটিতে ৬১ কোটি ৬০ লাখ জনশক্তি রয়েছে। এর মধ্যে সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত ৪৮ কোটি ৯৬ লাখ জন। দেশটিতে প্রতি বছর সামরিক দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত বয়সী হন ২২ কোটি ৯ লাখ ব্যক্তি। ভারতে ১৩ লাখ ২৫ হাজার সেনা রয়েছে। সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল ২১ লাখ ৪৩ হাজার।
পাকিস্তান: ১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮৫ হাজার ৮৪৭ জনসংখ্যার দেশটিতে ৯ কোটি ৫০ লাখ জনশক্তি রয়েছে। এর মধ্যে সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত ৭ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার জন। দেশটিতে প্রতি বছর সামরিক দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত বয়সী হন ৪ কোটি ৩ লাখ ৪৫ হাজার ব্যক্তি। পাকিস্তানে ৬ লাখ ২০ হাজার সেনা রয়েছে। সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবল ৫ লাখ ১৫ হাজার।